এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গাজরের হালুয়ার কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এছাড়া গাজরের স্যালাডও অনেকেরই প্রিয়। তবে এটা অনেকেরই জানানেই, গাজর কেটে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে। অনেকেই স্যালাড কেটে অনেকক্ষণ পর খান। সেটা করলে চলবে না। এতে জীবানু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ভাল করে জলে ধুয়ে থাওয়া অত্যন্ত দরকার। আর যে ভাবেই গাজর খাওয়া হোক না কেন, এর খাদ্যগুণ অপরিসীম।
খাদ্যগুণঃ
১. গাজরে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
২. অনেকে সেদ্ধ গাজর খান, তবে তাতে কাঁচা গাজরের গুণাবলীর সঙ্গে কোনও
হেরফের হয় না। তাই সেদ্ধ গাজর খাওয়া শরীরের প্রতি পুষ্টিকর।
৩. গাজরে প্রচুর ক্যারোটিন তাকে। এই ক্যারোটিনের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন খুবই
গুরত্বপূর্ণ।। এটা থাকে বলে গাজর ক্যান্সার রোধ করে।
৪. ক্যারাটিন থাকার ফলে গাজর ত্বক পরিচর্যায় ভাল কাজ করে।
৫. গাজর সেদ্ধ করে মণ্ড করে মুখে প্রায় আধঘন্টা মতন মেখে রাখলে চামড়ার দাগ
চলে যায়। চামড়া বেশ নরম ও পরিস্কার থাকে।
৬. গাজর এভাবে মুখে মাখলে চোখের নিচের ফোলা কমে যায়। ব্রণও কমে যায়।
৭. আমাদের দাঁত ও মাড়ির জোর বাড়াতে ও ভাল রাখতে গাজ সাহায্য করে।
৮. গাজর রেচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
৯. রক্তের স্বাবাবিক রাখতেও গাজরের ভূমিকা খুবই গুরত্বপূর্ণ।
১০. গাজরে ফ্যালিক অ্যাসিড থাকে বলে গর্ভবতী মায়েদের পক্ষে গাজর খুব বাল।
১১. গাজর কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও পেট পরিস্কার রাখে।
১২. রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান স্বাভাবিক রাখে।
১৩. গাজরে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ থাকে বলে চোখের পক্ষে খুবই ভাল।
১৪. পেটের আলসার গাজর ভাল কাজ করে। হজম শক্তি বাড়ায়।
১৫. টিউমার রোধ করতেও গাজরের গুণ অপরিসীম।
উল্লেখ্য, ডায়াবেটিক রোগীরা গাজর একদমই খাবেন না। যাদের রক্তে শর্করা
স্বাভাবিক, তারাই গাজ খাবেন।